কমলগঞ্জ আইডিয়াল কেজি এন্ড হাই স্কুলে মা-সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

কমলগঞ্জ আইডিয়াল কেজি এন্ড হাই স্কুলে মা-সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

কমলগঞ্জ আইডিয়াল কেজি এন্ড হাই স্কুলে মা-সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
কমলগঞ্জ আইডিয়াল কেজি এন্ড হাই স্কুলে মা-সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

শামীম আহমেদ তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার: কমলগঞ্জে আইডিয়াল কেজি এন্ড হাই স্কুলে গতকাল এক জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মা-সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমলগঞ্জের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব ও কমলগঞ্জ ইসলামিক সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম মোহাম্মদ আব্দুহ, যিনি একই সঙ্গে এই বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডি. এম. সাদিক আল সাফিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কমলগঞ্জ উপজেলা; মোছা. শামসুন্নাহার পারভীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা; সেলিনা আক্তার ক্রোরি, সাবেক ইনচার্জ, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট; কাজী মামুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি, বণিক সমিতি, ভানুগাছ বাজার; সৈয়দা তাসফিয়া কাউসার, ডেন্টাল সার্জন ও পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেট; কমলগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জামান আলম এবং মাওলানা সুলাইমান আহমদ, প্রিন্সিপাল, কমলগঞ্জ জামিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর আব্দুল মুমিন। এছাড়া মিন্টু ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে মায়েদের ভূমিকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, “মায়েরা হলেন সন্তানের প্রথম শিক্ষক। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও ভালোবাসাই পারে একটি শিশুকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।” এই আলোচনায় মা-বোন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক উৎসাহময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। বিজয়ীদের হাসিমুখ আর উচ্ছ্বাস অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং প্রিন্সিপাল মাসুক স্যারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর তার বক্তব্যে বলেন, “প্রিন্সিপাল মাসুক স্যার একজন নিবেদিতপ্রাণ, পরিশ্রমী ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। শিক্ষার অগ্রগতির জন্য তাঁর চিন্তাভাবনা আমার সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।” তিনি আরও জানান, “বিদ্যালয়টির উন্নয়নে আমার পৃষ্ঠপোষকতা ও নজরদারি সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এই প্রতিশ্রুতি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সবাইকে মুগ্ধ করে। ছোট্ট শিল্পীদের নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি দর্শকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখেছে। প্রচুর সংখ্যক মা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি একটি উৎসবমুখর রূপ পা

পরিশেষে, সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম আব্দুহ তার সংক্ষিপ্ত ও হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। এই সুন্দর আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষজন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সব মিলিয়ে এটি ছিল একটি সফল ও স্মরণীয় দিন!