Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
চাটমোহর থানা পুলিশ, পাবনা, বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ নাটোর এর যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর বড়াইগ্রাম থানার গাড়ফা গ্রামের ০৭ বছরের শিশু কন্যা আকলিমা খাতুন জুঁইকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ০৫ জন আসামী গ্রেফতার।
সূত্রঃ চাটমোহর থানার মামলা নং-১৬, তারিখ- ১৫/০৪/২০২৫ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ- বড়াইগ্রাম থানাধীন গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামস্থ মোছাঃ মোমেনা খাতুন (৩২), স্বামী-মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সাং-গাড়ফা উত্তরপাড়া, ইউপি-চাঁন্দাই, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর প্রায় ১৭ বছর পূর্বে মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা-মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাং-গাড়ফা উত্তরপাড়া, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর এর সহিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। সূত্রে বর্ণিত মামলার বাদীনি মোছাঃ মোমেনা খাতুন। ঘর সংসার করাকালীন তাহাদের ০১টি ছেলে ও ০২টি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। প্রায় ০২ বছর যাবৎ বাদীনির স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়াতে অবস্থান করিতেছে। বাদীনি স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর হইতে বাদীনি তার স্বামীর বাড়ীতে তিনি ও তার০১ টি ছেলে এবং ০২ টি মেয়ে সন্তান সহ বাদীনির স্বামীর বাড়ীতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করিতেছে। বাদীনির মেজ মেয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই (০৭) আজেদা নুরাইয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্রী। বাদীনির মেজ মেয়ে মোছাঃ আকলিমা খাতুন জুঁই (মামলার ভিকটিম) বাদীনির খালা শ্বাশুড়ী মোছাঃ সবুরা খাতুন (৫০), স্বামী-মোঃ সুলতান হোসেন প্রামানিক, সাং-গাড়ফা উত্তরপাড়া, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর এর বাড়ীতে মাঝে মধ্যে যাওয়া আসা করিত এবং রাত্রে থাকিত। গত ইং-১৪/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় (১লা বৈশাখ) বাদীনির মেজ মেয়ে মোছাঃ আকলিমা খাতুন জুঁই বাদীনির খালা শ্বাশুড়ী মোছাঃ সবুরা খাতুন (৫০) এর বাড়ীতে সেমাই খাওয়ার কথা বলিয়া বাদীনির বাড়ী হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে ইং-১৫/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় বাদীনির মেজ মেয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই বাড়ীতে না আসার কারণে বাদীনি তার খালা শ্বাশুড়ীর বাড়ীতে গিয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই এর খোজ খবর নিয়ে জানিতে পারে আকলিমা খাতুন জুঁই তাদের বাড়ীতে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে আসে। তখন বাদীনি বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করিয়া বাদীনির মেয়েকে পায় না। তখন বাদীনির নিকট আত্মীয় স্বজনসহ প্রতিবেশী লোকজনদের জানাইয়া বাদীনি পুনরায় তার মেয়েকে খোজার জন্য বাহির হন। এক পর্যায়ে বাদীনির শ্বাশুড়ী মোছাঃ জহুরা খাতুন (৫৭), স্বামী-মোঃ সাইদুল ইসলাম সাং-গাড়ফা উত্তরপাড়া, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর নিজ নাতনি জুঁই এর নিখোঁজ সংবাদ পেয়ে তার বড় মেয়ে এর বাড়ী হতে নিজ বাড়ী গাড়ফা গ্রামে আসে এবং জুঁইকে খোজাখুজি শুরু করে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে ভিকটিমের দাদি মোছা জহুরা খাতুন চাটমোহর থানাধীন হরিপুর ইউপিস্থ রামপুর সাকিনে জনৈক মোঃ আফজাল হোসেন (৭০), পিতা-মৃত কিরাম হাজী এর ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে বাদীনির মেঝ মেয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই এর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতে চাটমোহর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং মৃতদেহের সুলতহাল রিপোট প্রস্তুত পূর্বক হত্যা কান্ডের রহস্য ও কারণ উদঘাটনের নিমিত্তে মৃতদেহের ময়না তদন্তে জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিম এর মা মোছাঃ মোমেনা খাতুন বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় এজাহার দাখিল করিলে সূত্রে বর্ণিত মামলা রুজু হয়।
মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোরতোজা আলী খাঁন মহোদয়ের নির্দেশনায়, অফিসার ইনচার্জ চাটমোহর থানা, পাবনা জনাব মোঃ মনজুরুল আলম নেতৃত্বে, মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মোঃ আওলাদ হোসাইন সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স উক্ত হত্যা কান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এর জন্য উদঘাটনের জন্য ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চাটমোহর থানা পুলিশ, বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ নাটোর এর যৌথ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুঁই হত্যা কান্ড সংক্রান্তে জড়িত অভিযুক্ত শিশু মোঃ সিয়াম আলম (১৩ বছর ০৪ মাস), পিতা-মোঃ শাহিন আলম, মাতা-মোছাঃ রিমা খাতুন, সাং-দিয়ার গাড়ফা গড়মাটি, ইউপি-চাঁন্দাই, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে জুঁই হত্যা কান্ডে সরাসরি জড়িত ১। শেখ সাদী (১৬ বছর ০৩ মাস), পিতা-মোঃ আয়নাল হক, মাতা-মোছাঃ শিল্পী খাতুন, সাং-গাড়ফা, ইউপি-চাঁন্দাই, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর বতমান সাং-রামপুর, ইউপি-হরিপুর, থানা-চাটমোহর, জেলা-পাবনা ২। মোঃ সাকিব (১৬ বছর ০৫ মাস), পিতা-মোঃ দুলাল হোসেন, মাতা-মোছাঃ হাসিনা বেগম, সাং-গাফড়া, ইউপি-চাঁন্দাই, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর ৩। মোঃ আব্দুল্লাহ (১৬ বছর, ০৫ মাস), পিতা-মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ বিউটি খাতুন, সাং-রামপুর, ইউপি-হরিপুর, থানা-চাটমোহর, জেলা-পাবনা ৪। মোঃ সোহেল রানা (২৫ বছর ০৫ মাস ১০ দিন), পিতা-মোঃ সুলতান হোসেন, সাং-মোছাঃ ছফুরা খাতুন, সাং-গাফড়া, ইউপি-চাঁন্দাই, থানা-বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোর দের কথা স্বীকার করে। ঐ সময় ঘটনার বিষয়ে উল্লেখিত অভিযুক্তদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে, অভিযুক্ত শেখ সাদী, সোহেল ও আব্দুল্লাহ এবং সাকিব গণ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খারাপ মেয়ে আনিয়া আনন্দ ফুর্তি করিবে বলে তারা আগে থেকে পরিকল্পনা করতঃ টাকা উঠাইয়া গাঁজা ক্রয় করে এবং সেই মোতাবেক শেখ সাদী ভিকটিমের বাড়ীর পাশে আম গাছ সংলগ্ন ভিকটিম এর অপেক্ষায় থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিম আকলিমা খাতুন জুঁই জনৈক নয়ন এর বাড়ীর পাশে আম বাগানে আম কুড়াতে ও খেলতে আসলে ইং-১৪-০৪-২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকায় শেখ সাদী ভিকটিমের হাত ধরে জনৈক মোঃ দুলাল হোসেন এর কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পূব হইতে সাকিব ও আব্দুল্লাহ অপেক্ষা করতে থাকে। কলাবাগানে সবমোট ০৪ জন মিলে ভিকটিম জুঁইকে ধষণ ও পার্শ্ব-বিক অত্যাচার করে। পরবর্তীতে সবাই মিলে জুঁই এর আধা মরা দেহ ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে আসে। ভুট্টা ক্ষেতে জুঁই এর আধা মরা দেহ এনে সিয়ামকে প্রলদ্ধ করে ধষণ করায়। এক পর্যায়ে জুঁই এর পরিহিত হাফ লাল রংয়ের প্যান্ট দিয়ে গলায় বেধে শেখ সাদী শ্বাসরুদ্ধ করে জুঁইকে হত্যা করে। সোহেল রানা ভিকটিম জুঁই ঘাড় মটকে দেয় এবং সাকিব ভিকটিমের পা ধরে রাখে। আব্দুল্লাহ ভিকটিম এর মুখে এসিড জাতীয় পদাথ নিক্ষেপ করে।
উল্লেখিত ০৫ জন অভিযুক্ত জুঁই হত্যা কান্ডে সরাসরি জড়িত। অভিযুক্তদের বিজ্ঞ আদালতে সোপদ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হইতেছে। অভিযুক্তদের ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি, ডিএন সংরক্ষণ ও পরীক্ষা সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।
কোন নির্বাচনই বর্তমানে প্রয়োজন নেই, সংস্কার আগে প্রয়োজন।
ভোট দিন ফলাফল
Total Vote: 12
View Options