Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, শমশেরনগর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত থেকে চীনে "ওভার দ্য কুঁজ" বিমানের একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল। উড্ডয়ন বিপজ্জনক ছিল, যেমন ১৯৪৫ সালের ১১ ই মার্চ, যখন একটি সি -১০৯ কার্গো বিমানটি চীনের চেংডুর উদ্দেশ্যে শমশেরনগর ছেড়ে গেলেও শীঘ্রই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। শমশেরনগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা মজুদ করা উপাদানগুলোর মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল (তবে কখনও ব্যবহৃত হয়নি) রাসায়নিক অস্ত্র, বিশেষত ১৮ টি রেল ওয়াগন বোঝাই ১০০০ পাউন্ড বোমা সায়ানোজেন ক্লোরাইড দিয়ে ভরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬১তম এয়ার সার্ভিস গ্রুপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ মাসগুলোতে শমশেরনগরে অবস্থিত ছিল।
দেশের সাতটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এদিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত শমশেরনগর বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত হয়। ১৯৭৫ সালে সেখানে বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে একটি প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। বিমানবন্দরটি চালু হলে প্রবাসী বাংলাদেশি ও পর্যটকদের জন্য যোগাযোগ সহজতর হবে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলমের মতে, শমশেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে তা নেপাল ও ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করবে এবং এটি একটি আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। পরিত্যক্ত সাতটি বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ দেশের আভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ-২৭ ফ্রেন্ডশিপ ২০০ শমশেরনগরের দিকে যাওয়ার পথে রানওয়ে থেকে সামান্য দূরে অবতরণ করে, ডানদিকে উল্টে যায় এবং পুড়ে যায়। এতে ৩১ আরোহীর মধ্যে সাতজন মারা যান।পূর্ব পাকিস্তান এয়ার অপারেশনস, ১৯৭১ অনুসারে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, শমশেরনগর ছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম যুদ্ধ গঠনের ঘাঁটি: একটি ডিসি-৩ ডাকোটা, একটি ডিএইচসি-৩ অটার এবং একটি আলুয়েট ৩ হেলিকপ্টার একত্রে কিলো ফোর্স নামে পরিচিত।শমশেরনগর বিমান বন্দরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে নির্মিত দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ সামরিক বিমানঘাটি। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষনসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর মধ্যে আলোচিত লালমনিরহাট ও শমশেরনগর বিমানবন্দরও রয়েছে। তবে প্রথমেই চালু হতে যাচ্ছে বগুড়া বিমানবন্দর। বিমানবন্দরগুলো সচল হলে দেশের পর্যটন ও অর্থনীতির বিকাশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।পর্যটন খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানো, যাত্রী সংখ্যা বাড়ানো, সড়ক ও রেলপথের চাপ কমানো এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে চাঙ্গা করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বেবিচক। বর্তমানে দেশের সাতটি বিমানবন্দর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে—বগুড়া, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজারের শমশেরনগর, ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, কুমিল্লা ও তেজগাঁও। এর মধ্যে চলতি বছরের জুলাই মাসেই বগুড়া বিমানবন্দর চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ চলছে পুরোদমে। লালমনিরহাট ও শমশেরনগর বিমানবন্দর সচল করার লক্ষ্যে চার সদস্যের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অন্য বিমানবন্দরগুলোর ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মনজুর কোভিদ ভুঁইয়া।তিনি বলেন, "যে বিমানবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ হবে, সেটিই আগে সচল করা হবে।
সেই অনুযায়ী বগুড়া বিমানবন্দরই প্রথম চালু হচ্ছে। তবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে।"লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর জন্য বিমান বাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার প্রক্রিয়া চলছে। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশদের নির্মিত ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে বিশিষ্ট এ বিমানবন্দরটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো সম্পন্ন বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সর্বশেষ ব্যবহৃত লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের পূর্বাঞ্চল, নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কিছু সংস্কার করলেই এটি পূর্ণ কার্যকর হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের 'চিকেনস নেক' এর নিকটবর্তী হওয়ায় লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু হলে কৌশলগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ লাভবান হবে। অতীতে ভারতের আপত্তির আশঙ্কায় বিমানবন্দরটি চালু হয়নি, তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে এবার আর বাধা আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।
কোন নির্বাচনই বর্তমানে প্রয়োজন নেই, সংস্কার আগে প্রয়োজন।
ভোট দিন ফলাফল
Total Vote: 12
View Options