গণতন্ত্র রক্ষায় স্বৈরতন্ত্রের পথ বন্ধের অঙ্গীকার নাহিদ ইসলামের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং রাষ্ট্র কাঠামো তৈরিতে এনসিপি বদ্ধপরিকর। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির সংলাপের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আজ এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই অভ্যুত্থানে জনগণ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে বাধ্য করেছিল। এই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দল, যার মূল শক্তি দেশের তরুণরা। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এর উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। সাবেক এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বলেন, অতীতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় স্বৈরাচারী শাসনের বিস্তার ঘটেছে। তাই, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। জনগণের আশা পূরণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি এমন সংস্কার চায়, যা রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম। বিগত সময়ে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দলীয়করণ হয়েছে। সংবিধানে এককেন্দ্রিক শাসনের বীজ বপন করা হয়েছে। তাই, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন না হলে যেই ক্ষমতায় আসুক, তার মধ্যে স্বৈরাচারী হওয়ার প্রবণতা থাকবে। তিনি আরও বলেন, এনসিপি সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলোর সাথে এনসিপি অধিকাংশ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। যেসব বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে, সেসব বিষয়ে তাদের সুপারিশ পেশ করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান নাহিদ ইসলাম।