চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানির পশুর প্রস্তুতি, ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানির পশুর প্রস্তুতি, ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কা

 কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে জেলার খামারিরা প্রায় ৩ লাখ পশু প্রস্তুত করেছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

গো-খাদ্যের দাম বাড়লেও খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা লাভবান হওয়ার আশা করছেন। তবে ভারতীয় গরু আমদানি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারিদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গরুর চাহিদা সবসময় বেশি। এই বছর প্রায় ৩ লাখ গরু, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

কোরবানির পশুর হাট শুরু হওয়ার আগে খামারিরা পশু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারগুলোতে বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছরে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খামার খাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে এবার খামারের সংখ্যা বেড়েছে। ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও খাদ্যের দাম কমাতে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার পশুর চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার ৫২২টি খামারে প্রায় ৩ লাখ পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। নতুন খামার নিবন্ধিত হয়েছে ৫২২টি। জেলায় ৬৬ হাজার ১০৪টি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের খামারি কামাল উদ্দিন বলেন, করোনার সময় অনেক খামারি লোকসানে পড়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা আবার খামার চালু করেছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে খামারগুলো ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখন হাটবাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে এবং খামার থেকে অনেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

দুটি খামারে ৫০টি গরু পালন করা হাসানুল বান্না জানান, ইতোমধ্যে ৩৫টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে এবং গত বছরের তুলনায় দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

গোমস্তাপুর উপজেলার খামারি আতিকুর রহমান বলেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি গরু পালন করা হয়েছে। বাইরের ব্যাপারিরা গরু কিনতে আসছেন। তবে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মুনজের আলম মানিক বলেন, বাজার পরিস্থিতি ভালো এবং নতুন খামার নিবন্ধিত হচ্ছে। সরকার ভর্তুকি দিলে খামারিরা লাভবান হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, অবৈধভাবে গরু প্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।