চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সোমবার (১৪ এপ্রিল) ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন হামলায় আরও ২৪৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে বহু পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি বহু সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন। এর আগে, রবিবার সানা প্রদেশে একটি সিরামিক কারখানায় মার্কিন হামলায় ছয়জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, 'বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপরাধ ও গণহত্যার জন্য এবং অবকাঠামো, শিল্প স্থাপনা ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের ওপর সরাসরি ও বারবার বোমা বর্ষণের জন্য আমরা আমেরিকান প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করি।' মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রতিদিনের হামলায় হুথিদের ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করবে। ওয়াশিংটনের দাবি, লোহিত সাগরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হুথিদের আক্রমণ এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে, ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।