কমলগঞ্জ মুসলিম ইউনিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ সম্পন্ন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

কমলগঞ্জ  মুসলিম ইউনিটির উদ্যোগে  প্রতিবাদ সমাবেশ সম্পন্ন

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভানুগাছ চৌমুহনা চত্বরে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান ‘সেইভ গাজা, সেইভ ফিলিস্তিন’, ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘তুমি কে আমি কে - ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসলামের শত্রুরা হুঁশিয়ার’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’—এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। এছাড়াও ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর নামে কটাক্ষ করে স্লোগানও শোনা যায়। প্রতীকীভাবে নেতানিয়াহুর ছবি জুতাপেটা করে প্রতিবাদ জানান মুসল্লিরা।

প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কমলগঞ্জের একতা সমাজকল্যাণ পরিষদের সেক্রেটারি মো. মোহিন মিয়া ও তারেকুল ইসলাম পাটোয়ারী। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করেন সংগঠনটির সভাপতি হাফেজ হিফজুর রহমান ফাহাদ।

সমাবেশে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মৌলভীবাজার জেলা সহসভাপতি ও মাধবপুর নোয়াগাঁও তালিমুল কুরআন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল মুত্তাকিন জুনাইদ সাহেবজাদায়ে শায়খে মাধবপুরী (রহ.), বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, জাতীয় ইমাম সমিতির নেতা মুফতি শামছুল ইসলাম লিয়াকত, জামায়াতে ইসলামীর এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা জিল্লুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ’র আবু বকর সিদ্দিক জিয়া এবং গণঅধিকার পরিষদের ওয়াকিল মুন্না আজমতসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা কারী জুবায়ের আহমদ, হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ খালেদ, ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের তানভীর রায়হান ওয়াসিম, ছাত্র মজলিসের মাহি আহমদ, তালামিযে ইসলামিয়ার আব্দুস সামাদ রাফি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমাদ উদ্দিন এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের হাফেজ তাওহীদ বখত।

সমাবেশ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন আঞ্জুমানে তালিমুল কুরআন বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি ক্বারী মাওলানা আবুল বাশার।

বক্তারা বলেন, ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি বিবেকবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। তারা অভিযোগ করেন, মুসলিম বিশ্ব আজ কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যা ইসরায়েলকে আরও বর্বর হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বক্তারা আরও বলেন, জাতিসংঘসহ সকল মানবতাবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠনকে ইসরায়েলকে দ্রুত বয়কট করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তারা।