নাটোর: বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন কর্মীরা

নাটোর: বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন কর্মীরা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত নাটোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন দলের কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লালপুর থানা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।

রুবেল উদ্দিন ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ চৌধুরীর বাড়িতে মধ্যরাতে গুলি চালানোর অভিযোগে রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বাগাতিপাড়া ও লালপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলার সময় ছাত্রদল ও যুবদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় এসে রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা রুবেলকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের বাড়িতে গুলির ঘটনায় রুবেল জড়িত ছিলেন না। তবে তাকে আটকের পর থানায় আসলে কি ঘটেছে, তা আমি নিশ্চিত নই।’

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, ‘মামলার আসামি রুবেল উদ্দিনকে থানা হেফাজত থেকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু বিপথগামী নামধারী নেতা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য লালপুর বিএনপির ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। দল কোনোভাবেই এর দায় নেবে না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এই কাজ করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে এসব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, লালপুর থানা পুলিশের সহায়তায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে লালপুর থানা থেকেই তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।