Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গত ছয় মাসেও কোনো দৃশ্যমান সংস্কার দেখা যায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহযোগীদের দখলে রয়েছে।
গত রোববার (১৫ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা বিএনপি আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সভায় দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে বসে আছে। তাদেরকে রেখে আপনারা কীভাবে সংস্কারের কথা বলতে পারেন? প্রথমে স্বৈরাচারের এই অবশেষগুলোকে নির্মূল করুন, অপসারণ করুন। তারপর পর্যায়ক্রমে সংস্কারে হাত দিন। এতেই বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে যাবে।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সংস্কারের আগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বৈরাচারের প্রভাবমুক্ত না করলে কীভাবে সুষ্ঠু পরিবর্তন সম্ভব?’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাথায় কী ঘুরছে, আমরা তা জানি না, বুঝতেও পারছি না। কিন্তু এটা পরিষ্কার, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে বোঝার জন্য বেশি সময় দেবে না।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি আপনারা ক্ষমতার মোহে পড়ে সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না। জনগণের ধৈর্যের একটা সীমা আছে, আর সেই সীমা অতিক্রম করলে পরিণতি ভালো হবে না।’
বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনী সংস্কার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তনের দাবি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো হয়ে উঠেছে। বিএনপি বারবার অভিযোগ করে আসছে যে, সংস্কার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। আমিনুল হকের এই বক্তব্যে দলটির সেই অবস্থান আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন। কিন্তু তার আগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে স্বৈরাচারের প্রভাব মুছে ফেলতে হবে। অন্যথায় এই সংস্কার কেবল একটি প্রহসন হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে জনগণের মধ্যে সংস্কার ও নির্বাচনের প্রত্যাশা তীব্র হয়ে উঠেছে। তবে আমিনুল হকের বক্তব্যে সেই প্রত্যাশার সঙ্গে সরকারের কার্যক্রমের বৈপরীত্য তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও জনগণ কোনো ফল দেখতে পায়নি। এটা শুধু হতাশাই নয়, জনমনে সন্দেহও তৈরি করছে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমিনুল হকের এই বক্তব্য সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
জাতীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।
কোন নির্বাচনই বর্তমানে প্রয়োজন নেই, সংস্কার আগে প্রয়োজন।
ভোট দিন ফলাফল
Total Vote: 12
View Options