Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নানা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা। রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এসব আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়ে স্লোগান ও দাবি উত্থাপন করেন।
সুপারিশপ্রাপ্ত ৩য় ধাপের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে ৬,৫৩১ জন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তিনটি ধাপে প্রথম দুই ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন হলেও ৩য় ধাপের নিয়োগ এখনও ঝুলে আছে।
তারা জানান, ১৪ জুন ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২৯ মার্চ ২০২৪ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২১ এপ্রিল ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ভাইভা শেষে ৩১ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে, যেখানে ৬,৫৩১ জনকে সুপারিশপ্রাপ্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নিয়োগ না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হয়েছেন।
এর মধ্যে ৩১ জন নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করলে, আদালত ৬ মাসের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে। এরপর ১৪ জানুয়ারি আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি আশ্বাস দেন, সুপারিশপ্রাপ্ত সবাই চূড়ান্ত নিয়োগ পাবেন। তবে, ৬ ফেব্রুয়ারি চেম্বার জজ আদালত, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ফলাফল বাতিল করায় তাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ জুতা প্রস্তুতকারক সমিতি ১৫০ টাকা মূল্যের মধ্যে প্লাস্টিক ও রাবার জুতার উৎপাদনে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। এতে প্রায় হাজারখানেক শ্রমিক অংশ নেয়, ফলে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫% ভ্যাট আরোপের ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, যা সরাসরি বিক্রয়মূল্যে প্রভাব ফেলবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
অ্যাপ-ভিত্তিক রাইডশেয়ারিং চালকরা ‘বাঁচাও রাইড পরিষেবা ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, দেশে বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় রাইডশেয়ার চালকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন তারা।
তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:১. গ্রেপ্তারকৃত উবার চালক মো. রকিকে মুক্তি দিতে হবে।২. চালকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।৩. চালকদের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।৪. রাইডশেয়ার চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৫. মজুরি কমিশন গঠন করে ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে।৬. চালকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে মজুরি বোর্ডে তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৭. প্রতি বছর ১০% মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।৮. রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের কমিশন সর্বোচ্চ ১০% রাখতে হবে।৯. ঢাকা ও আশপাশের মহাসড়কে চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
চালকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।
কোন নির্বাচনই বর্তমানে প্রয়োজন নেই, সংস্কার আগে প্রয়োজন।
ভোট দিন ফলাফল
Total Vote: 12
View Options