বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, বোরো ধানের চাল বাজারে আসা শুরু হলে চালের দাম দ্রুত কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মঙ্গলবার ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বশিরউদ্দীন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধান থেকে উৎপাদিত চাল পাওয়া গেলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট চাল বোরো মৌসুমেই বেশি উৎপাদিত হয়। তিনি আরও বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং বিদ্যুতের সরবরাহও ভালো ছিল। সারের সরবরাহসহ অন্যান্য বিষয়গুলোও ইতিবাচক ছিল। আল্লাহর রহমতে এবার ফসলের ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নতুন ধান বাজারে আসলে চালের বাজার স্থিতিশীল হবে। কৃষিপণ্য একটি পরিবর্তনশীল বিষয় উল্লেখ করে বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার সকল পণ্যের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল এলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাণিজ্য বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে। আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য সুখবর সরকার বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫ প্রণয়ন করেছে, যা আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য একটি বিশেষ উপহার। এই নীতিমালায় মাসিক পরিষেবা ফি বৃদ্ধি, উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পেনশনের মতো সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবে এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উচ্চমানের পরিষেবা নিশ্চিত করা, যা সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করবে। নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ বিভাগ এবং তিনটি বিশেষায়িত সেবা ক্ষেত্রে মাসিক পরিষেবা ফি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, কর্মীরা দুটি বার্ষিক উৎসবে তাদের মাসিক পরিষেবা ফির ৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন এবং বাংলা নববর্ষে মাসিক পরিষেবা ফির ২০ শতাংশের সমপরিমাণ বৈশাখী ভাতা পাবেন। চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ দিনের বার্ষিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে মূল কাজের দায়িত্ব সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরে কর্মীদের দুই সেট পোশাক দেওয়া হবে, যা তাদের কাজের সময় পরিধান করতে হবে। নারী কর্মীদের জন্য ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পে নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে। মাসিক বেতন সরাসরি কর্মীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অথবা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে এবং তা মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ করা হবে। নীতিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীদের মাসিক সেবামূল্য ও প্রণোদনা অর্থ বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেবা ক্রয়কারী কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সেবাঘণ্টা, কর্মীর সেবা সময় হিসেবে বিবেচিত হবে। কাজের মানদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত পরিষেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে চুক্তি অনুসারে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া যেতে পারে।