Join our subscribers list to get the latest news, updates and special offers directly in your inbox
চব্বিশের বার্তা অনলাইন:
তিনি বলেন, "সেদিন আমি ও হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করি। আমাদের দলের আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যাওয়ার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করি, আমাদের সেনানিবাসে ডাকা হয়নি, বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী বার্তার মাধ্যমে কিছু প্রশ্নোত্তর হতো।"
তিনি উল্লেখ করেন, "১১ মার্চ পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে সেনাপ্রধানের কড়া বক্তব্য ‘এনাফ ইজ এনাফ’ শোনার পর আমি তার মিলিটারি অ্যাডভাইজারকে জিজ্ঞাসা করি, তারা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দেখছেন কিনা। উত্তরে তিনি জানতে চান, আমরা এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাই কি না। আমাদের সম্মতিতেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই রুমে শুধু সেনাপ্রধান, হাসনাত ও আমি ছিলাম।"
সারজিস আলম বলেন, "মানুষ হিসেবে সবাই বক্তব্যকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। হাসনাত সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে, আমি কিছুটা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখছি। আমি মনে করি, সেটি কোনো সরাসরি ‘প্রস্তাব’ ছিল না, বরং সেনাপ্রধান তার ‘অভিমত’ প্রকাশ করেছেন। যদিও তার ভাষা ছিল তুলনামূলক স্ট্রেইট-ফরওয়ার্ড, তবে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’-এর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। বরং তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "হাসনাতের বক্তব্যে উল্লেখিত বিষয়গুলো যেমন- রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্বাচন প্রসঙ্গ—এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে হাসনাতের ভাষ্যের টোনের কারণে মনে হতে পারে আলোচনা অনেক বেশি এক্সট্রিম ছিল, যদিও সেটি তুলনামূলক স্ট্রেইট-ফরোয়ার্ড এবং আত্মবিশ্বাসী ছিল।"
তিনি বলেন, "হাসনাত উল্লেখ করেছে, আলোচনার এক পর্যায়ে আমরা বলেছিলাম, ‘যে দল ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কিভাবে ক্ষমা করা যায়?’ এ কথার উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স।’ এই কথোপকথন সত্য, তবে এটি রুমের ভেতরে হয়নি, বরং যখন আমরা সেনাভবন থেকে বের হচ্ছিলাম তখন হয়েছে। এটি রাগান্বিত সুরে বলেননি, বরং একজন সিনিয়র ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতার কথা বোঝানোর জন্য বলেছেন।"
সারজিস বলেন, "আমি ‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ সমর্থন করি না। সেনাবাহিনীকে জনগণ কিংবা রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি দাঁড় করানো প্রাসঙ্গিক নয়। একইভাবে সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।"
তিনি আরও বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিক ব্যাপার। সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের কথোপকথন দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। সিদ্ধান্তের পর রাজপথে নামা যেত বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া যেত। তবে ফেসবুকে সরাসরি এসব কথা প্রকাশ করাকে আমি সমীচীন মনে করি না, কারণ এতে ভবিষ্যতে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।"
তিনি বলেন, "আমার এই বক্তব্যের কিছু অংশ সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে। তবে এটি আমাদের ব্যক্তিত্বের জায়গা থেকে স্বাভাবিক। আমরা গা ভাসানোর মানুষ নই, হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়েছি। আজও যদি কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করে, তাহলে আমরা তার সামনে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তবে যেখানে প্রয়োজন, সঠিক সংশোধনও আমরা করব।"
তিনি আরও বলেন, "আত্মসমালোচনা আমাদের সঠিক পথে রাখবে এবং কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আওয়ামী লীগের যে কোনো ভার্সনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।"
জাতীয় নির্বাচন আগে প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রয়োজন।
কোন নির্বাচনই বর্তমানে প্রয়োজন নেই, সংস্কার আগে প্রয়োজন।
ভোট দিন ফলাফল
Total Vote: 12
View Options