ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল

অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী ও স্থায়ী বাসিন্দা মাহমুদ খলিলকে দেশ থেকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে একটি মার্কিন আদালত।

৩০ বছর বয়সি খলিলকে এক মাস আগে গ্রেফতার করে লুইজিয়ানা ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। আদালত জানিয়েছে, ১৯৫২ সালের একটি পুরোনো অভিবাসন আইনের আওতায় খলিলের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থী বলে বিবেচিত হয়েছে।

তবে রায়টি চূড়ান্ত নয়—আদালত তার আইনজীবীদের আপিল করার জন্য ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। খলিল এই আদেশকে “ন্যায়বিচারের ঘাটতি” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলছেন, তাকে তার মত প্রকাশের জন্যই নিশানা করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দাখিলকৃত তথ্যে কোনও সরাসরি অপরাধ বা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার প্রমাণ নেই। বরং, একটি চিঠির ভিত্তিতে বিচার কার্য সম্পন্ন হয়, যেখানে শুধু বলা হয়েছিল—খলিলের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী।

খলিলের আইনজীবীরা বলছেন, তাকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া একধরনের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত এবং ধর্মীয় পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিফলন।

নিউ জার্সির ফেডারেল আদালতে মাহমুদ খলিল তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সংবিধানিক চ্যালেঞ্জও করেছেন। মামলায় জয়ী হলে তার বহিষ্কার ঠেকানো সম্ভব হতে পারে।

এদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মন্ত্রী এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সহিংসতা ও বৈরী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তবে এখনও পর্যন্ত মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি।